কয়েকটি সেল নিয়ে একটি ব্যাটারি হয়। মনে করুন ১২ ভোল্টের একটি ব্যাটারি ২ ভোল্টের ৬টি সেল দিয়ে তৈরি। এখানে সেল গুলি সিরিজে সংযুক্ত (ইন্টারনাল) থাকে। আমরা ঘড়িতে যে একটি ব্যাটারি ব্যবহার করি সেটা কিন্ত ব্যাটারি বলিনা, এটা সেল। যাইহোক সেল এমন একটি একক ইউনিট যা রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করে ডিসি ভোল্টেজ উৎপাদন করতে পারে। প্রতিটি সেলে দুটি টার্মিনাল থাকে, একটি পজেটিভ এবং একটি নেগেটিভ টার্মিনাল।
ব্যাটারির সাথে কম-বেশি আমরা সবাই পরিচিত, তারপরও একটু বলি- বৈদ্যুতিক সার্কিটে কারেন্টের পরিমাণ কমানো/বাড়ানোর জন্য বা ভোল্টেজ পরিবর্তনের জন্য কতগুলো বৈদ্যুতিক সেলকে একত্রে সংযোগ করা হয়। এই একত্রিত সেলগুলোকে একত্রে একটি ব্যাটারি বলে।
ব্যাটারি কেন সিরিজে বা পারালেলে সংযোগ করি?
ধরুন, একটি ১০০০কেভিএ ডিজেল ইঞ্জিন জেনারেটরে দুটি ১২ ভোল্ট, ২০০ আম্পিয়ার-আওয়ার ব্যাটারি সিরিজে লাগানো আছে। এটার ব্যাখ্যা জানলেই আপনার এ ব্যাপারে ধারণা আসবে। এই জেনারেটর সেটে ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রোল সিস্টেম আছে যেগুলো সাধারণত ২৪ ভোল্ট ডিসি সিস্টেমে চলে। আবার এই ইঞ্জিন চালু করার জন্য স্টার্টিং মোটর থাকে সেটাও ২৪ ভোল্টের মোটর এবং হাই অ্যাম্পিয়ার এর হয়ে থাকে। ইঞ্জিন চালু করার সময় অনেক হাই অ্যাম্পিয়ার প্রয়োজন হয় তাই ২০০ আম্পিয়ার-আওয়ার এর ব্যাটারি লাগানো হয়েছে। ইঞ্জিন চালুর পর শুধু ইঞ্জিনের কন্ট্রোল সিস্টেম এই ডিসিতে চালু থাকে, অল্প আম্পিয়ারে। এ জন্যই এখানে দুটি ১২ ভোল্ট, ২০০ আম্পিয়ার-আওয়ার ব্যাটারি সিরিজে লাগানো থাকে। এটার সাথে একটি ২৪-৩০ ভোল্টের একটি ডিসি ব্যাটারি চার্জার লাগানো থাকে।
Battery Charger
ব্যাটারী চার্জার একটি ডিসি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এটা সাধারণত ব্যাটারী ভোল্টেজ থেকে একটু বেশি ভোল্টেজের হয়ে থাকে। এটির পজিটিভ টার্মিনাল ব্যাটারীর পজিটিভ লিডে, নেগেটিভ টার্মিনাল ব্যাটারীর নেগেটিভ লিডে সংযুক্ত থাকে।
Battery Float Charging & Boost Charging
আপনারা হয়তো দেখেছেন কোন ভাল ব্যাটারী চার্জারে Float Charging & Boost Charging একটি সুইস থাকে । ভালো মানের চার্জারে বিশেষ করে ইন্ডাস্ট্রিতে যেসব ব্যাটারী চার্জার থাকে সেগুলোতে থাকে।
যেখানে ব্যাটারী সাধারণত কম ডিসচার্জ হয় (রেয়ারলি ডিসচার্জ হয়) সবসময় ব্যাটারী চার্জারের সাথে কানেক্ট থাকে সেখানে Float Charging অপশনে রেখে ব্যাটারী চার্জে রাখা হয়। এ সময় কম কারেন্টে ব্যাটারি চার্জ হতে থাকে, লোড ও ব্যাটারী চার্জারের প্যারালেলে থাকে। নরমাল কন্ডিশনে চার্জার থেকেই লোডে ডিসি ভোল্টেজ পায়, যদি ব্যাটারী চার্জারে ইনপুট ফেইল করে তখন ব্যাটারী থেকে ডিসি পাওয়ার লোডে যায়।এ অবস্থায় ব্যাটারী ওভারচার্জিং হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
একটি ব্যাটারী ফুল ডিসচার্জ হলে, অল্প সময়ে ব্যাটারী চার্জ করার প্রয়োজন হলে হাই কারেন্টে যে চার্জিং করা হয় সেটাই Boost Charging (বলতে পারেন ফোর্স চার্জিং পদ্ধতি)। সাধারণত অনেকদিন ব্যাটারী চার্জে না থাকলে প্রথমে Boost Charging এ ব্যাটারী চার্জ করা হয়, ফুল চার্জ হয়ে গেলে আবার সুইস Float Charging এ রাখা হয়। সবসময় Boost Charging এ রাখলে ব্যাটারী ওভারচার্জিং হতে পারে। বর্তমানে বেশির ভাগ চার্জার গুলি অটো সিস্টেমের, অটোমেটিক বুস্ট থেকে ফ্লোট-এ চলে যায়।
কিছু ইনফো-টিপসঃ
* ব্যাটারীর ক্ষমতা এম্পিয়ার-আওয়ার (AH) এ প্রকাশ করা হয়।
* ব্যাটারীর ভিতরে যে তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তাকে ইলেক্ট্রোলাইট বলে। এটি পানি (ডি-মিনারালাইজড ওয়াটার) ও সালফিউরিক এসিড (এটির সংকেত H2SO4) এর মিশ্রণ।
* ব্যাটারী ফুল চার্জ অবস্থায় ইলেক্ট্রোলাইট এর আপেক্ষিক গুরুত্ব 1.3 হয়।
* ইলেক্ট্রোলাইটের আপেক্ষিক গুরুত্ব মাপার যন্ত্রের নাম হাইড্রোমিটার ।
* আমরা বাসা-বাড়িতে যেসব ড্রাইসেল (সাধারণত ব্যাটারী বলি) ব্যবহার করি (দেয়াল ঘড়ি, রিমুট ইত্যাদিতে) সেগুলো 1.5 ভোল্টের হয়।
* লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারীও আছে যেগুলো সাধারণত মোবাইলে/পোর্টেবল ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়। তবে এই ব্যাটারীগুলো সাধারনত 3.7V ভোল্টের হয়।
* কোন ব্যাটারী ৫০% এর বেশী ডিসচার্জ করা ঠিক নয় । এতে ব্যাটারীর আয়ু কমে যায়।
"Diodes are used to rectify AC to pulsated DC"
ব্যাটারির সাথে কম-বেশি আমরা সবাই পরিচিত, তারপরও একটু বলি- বৈদ্যুতিক সার্কিটে কারেন্টের পরিমাণ কমানো/বাড়ানোর জন্য বা ভোল্টেজ পরিবর্তনের জন্য কতগুলো বৈদ্যুতিক সেলকে একত্রে সংযোগ করা হয়। এই একত্রিত সেলগুলোকে একত্রে একটি ব্যাটারি বলে।
ব্যাটারি কেন সিরিজে বা পারালেলে সংযোগ করি?
ধরুন, একটি ১০০০কেভিএ ডিজেল ইঞ্জিন জেনারেটরে দুটি ১২ ভোল্ট, ২০০ আম্পিয়ার-আওয়ার ব্যাটারি সিরিজে লাগানো আছে। এটার ব্যাখ্যা জানলেই আপনার এ ব্যাপারে ধারণা আসবে। এই জেনারেটর সেটে ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্রোল সিস্টেম আছে যেগুলো সাধারণত ২৪ ভোল্ট ডিসি সিস্টেমে চলে। আবার এই ইঞ্জিন চালু করার জন্য স্টার্টিং মোটর থাকে সেটাও ২৪ ভোল্টের মোটর এবং হাই অ্যাম্পিয়ার এর হয়ে থাকে। ইঞ্জিন চালু করার সময় অনেক হাই অ্যাম্পিয়ার প্রয়োজন হয় তাই ২০০ আম্পিয়ার-আওয়ার এর ব্যাটারি লাগানো হয়েছে। ইঞ্জিন চালুর পর শুধু ইঞ্জিনের কন্ট্রোল সিস্টেম এই ডিসিতে চালু থাকে, অল্প আম্পিয়ারে। এ জন্যই এখানে দুটি ১২ ভোল্ট, ২০০ আম্পিয়ার-আওয়ার ব্যাটারি সিরিজে লাগানো থাকে। এটার সাথে একটি ২৪-৩০ ভোল্টের একটি ডিসি ব্যাটারি চার্জার লাগানো থাকে।
Battery Charger
ব্যাটারী চার্জার একটি ডিসি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এটা সাধারণত ব্যাটারী ভোল্টেজ থেকে একটু বেশি ভোল্টেজের হয়ে থাকে। এটির পজিটিভ টার্মিনাল ব্যাটারীর পজিটিভ লিডে, নেগেটিভ টার্মিনাল ব্যাটারীর নেগেটিভ লিডে সংযুক্ত থাকে।
Battery Float Charging & Boost Charging
আপনারা হয়তো দেখেছেন কোন ভাল ব্যাটারী চার্জারে Float Charging & Boost Charging একটি সুইস থাকে । ভালো মানের চার্জারে বিশেষ করে ইন্ডাস্ট্রিতে যেসব ব্যাটারী চার্জার থাকে সেগুলোতে থাকে।
যেখানে ব্যাটারী সাধারণত কম ডিসচার্জ হয় (রেয়ারলি ডিসচার্জ হয়) সবসময় ব্যাটারী চার্জারের সাথে কানেক্ট থাকে সেখানে Float Charging অপশনে রেখে ব্যাটারী চার্জে রাখা হয়। এ সময় কম কারেন্টে ব্যাটারি চার্জ হতে থাকে, লোড ও ব্যাটারী চার্জারের প্যারালেলে থাকে। নরমাল কন্ডিশনে চার্জার থেকেই লোডে ডিসি ভোল্টেজ পায়, যদি ব্যাটারী চার্জারে ইনপুট ফেইল করে তখন ব্যাটারী থেকে ডিসি পাওয়ার লোডে যায়।এ অবস্থায় ব্যাটারী ওভারচার্জিং হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
একটি ব্যাটারী ফুল ডিসচার্জ হলে, অল্প সময়ে ব্যাটারী চার্জ করার প্রয়োজন হলে হাই কারেন্টে যে চার্জিং করা হয় সেটাই Boost Charging (বলতে পারেন ফোর্স চার্জিং পদ্ধতি)। সাধারণত অনেকদিন ব্যাটারী চার্জে না থাকলে প্রথমে Boost Charging এ ব্যাটারী চার্জ করা হয়, ফুল চার্জ হয়ে গেলে আবার সুইস Float Charging এ রাখা হয়। সবসময় Boost Charging এ রাখলে ব্যাটারী ওভারচার্জিং হতে পারে। বর্তমানে বেশির ভাগ চার্জার গুলি অটো সিস্টেমের, অটোমেটিক বুস্ট থেকে ফ্লোট-এ চলে যায়।
কিছু ইনফো-টিপসঃ
* ব্যাটারীর ক্ষমতা এম্পিয়ার-আওয়ার (AH) এ প্রকাশ করা হয়।
* ব্যাটারীর ভিতরে যে তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তাকে ইলেক্ট্রোলাইট বলে। এটি পানি (ডি-মিনারালাইজড ওয়াটার) ও সালফিউরিক এসিড (এটির সংকেত H2SO4) এর মিশ্রণ।
* ব্যাটারী ফুল চার্জ অবস্থায় ইলেক্ট্রোলাইট এর আপেক্ষিক গুরুত্ব 1.3 হয়।
* ইলেক্ট্রোলাইটের আপেক্ষিক গুরুত্ব মাপার যন্ত্রের নাম হাইড্রোমিটার ।
* আমরা বাসা-বাড়িতে যেসব ড্রাইসেল (সাধারণত ব্যাটারী বলি) ব্যবহার করি (দেয়াল ঘড়ি, রিমুট ইত্যাদিতে) সেগুলো 1.5 ভোল্টের হয়।
* লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারীও আছে যেগুলো সাধারণত মোবাইলে/পোর্টেবল ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়। তবে এই ব্যাটারীগুলো সাধারনত 3.7V ভোল্টের হয়।
* কোন ব্যাটারী ৫০% এর বেশী ডিসচার্জ করা ঠিক নয় । এতে ব্যাটারীর আয়ু কমে যায়।
"Diodes are used to rectify AC to pulsated DC"
No comments:
Post a Comment